কেন জানি না আজ খুব লিখতে ইচ্ছা করছে।তাই কি লিখব খু্জে না পেয়ে ভাবলাম কিছু আমার কথা লিখব।কিন্তু আবার ভাবলাম এই ব্যস্ততার যুগে একটা ক্লাস দশম শ্রেনীতে পড়া ছেলের নিজের জিবনের কথা মন যোগ দিয়ে পড়বে এটা ভাবতে গেলেই হাসি আসে।কিন্তু ওই যে বললাম আমার আজ খুব লিখতে ইচ্ছা করছে তাই বেশি না হেযিয়ে আমি আমার জিবনের Web Designing Experience Share করতে চাই।যদিও বা সেই সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের থেকে অনেক কম।আমি যখন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ি আমার বাবা আমাদের বারিতে কম্পিউটার আনে।যারা ভাবছে কোনো কাজের জন্য আমাদের বারিতে কম্পিউটার আনা হয় তারা ভুল ভাবছে।শুধুমাত্র মূলত অকাজের জন্যই এটা ব্যবহ্রত হয়।আমি আমার বাবা কে ধন্যবাদ দিতে চাই কারন গরিব মধ্যবিত্ত হয়েও আমাকে কম্পিউটার কিনে দিয়ে আমার সকাল বিকাল রাত্রের একটা বন্ধু দেওয়ার জন্য।যখন থেকেই আমার কম্পিউটার আছে তখন থেকেই Net এর Connection আছে।সময়ে সময়ে Net করার প্রক্রিয়া বদলেছে,থাক সে কথা,না হয় আর একদিন বলব।আমার প্রথম থেকেই Website তৈরি করা নিয়ে আগ্রহ ছিল,তাই কন পত্রিকা হোক বা বই বা কোনো Blog,Articles এসব খুজতাম এবং পরতাম।আমাকে সাহায্য করার মত কেউ ছিল না,অবশ্য বর্তমানে Bengal Student এর অন্যতম নায়ক তুষার দা আমাকে যথা সাহায্য সাহায্য করছে আমার এই বিষয়ে অযানা জিনিস গুলো যানার ব্যপারে।যাই হোক একদিন আমি HTML CODE কথাটা উদ্ধার করে ফেললাম।আমি বিভিন্ন WebSite এর SourceCode দেখতে লাগলাম,তারপর একদিন Html Code নিয়ে Online সিখতে সুরু করলাম,কিছু কিছু মাথায় ঢুকল আর কিছু কিছু একেবারে মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।এখন ও অনেক কোড অযানা এবং Doubt Clear নয়।তারপর আমি দেখলাম আমি যে সকল Page বানাতে পারছি তা তো একদম বাজে লাগছে। তাই আমি স্পেসাল এফেক্ত গুলো খুজতে লাগলাম তখন-ই আমি আবিস্কার করলাম CSS/Java Script .বেশ মজা পেয়ে গেলাম।তারপর ভাবলাম Login-Register ব্যপার টা এবার জানতে হবে আবার আবিস্কার করে ফেললাম PHP/MySql .কিন্তু যখন PHP/MySql নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম তখন আমি বুঝতে পারলাম যে এটা কত বোরিং জিনিস,কারন মাথা চুলকে চুলকে চুল ছিড়ে PHP/MySql Code নামানো আমার দ্বারা হল না,তাই ওই দুটো জিনিস নিয়ে এখনো আমার আরো জানা হল না!! তবে কিন্তু আমি Main ব্যপার টা যানি,তারপর BengalStudent Site টা Google থেকে পেলাম,তুষার দার সাথে আলাপ হল। আসা করি তুষার দার দৌলতে আমি আমার অজানা ব্যপার গুলো যেনে নিতে পারব,কিন্তু তুষার দা খুব ব্যস্ত মানুষ আবার এই সাইট এর Co-Owner হয়েও আমাকে এরকম ভাবে সাহায্যের হাত বারিয়ে দিতে দেখে নিজেকে খুব ভাগ্যমান বলে মনে হয় মাঝে মাঝে।
Showing posts with label Bangla Articles. Show all posts
Showing posts with label Bangla Articles. Show all posts
Wednesday, April 21, 2010
আমি
Posted by Sayantan at 1:10 AM Wednesday, April 21, 2010Labels: Bangla Articles 1 comments
Tuesday, March 30, 2010
পারমানবিক অস্ত্র কিভাবে কাজ করে?
Posted by Sayantan at 9:34 PM Tuesday, March 30, 2010নির্মান কৌশলের দিক দিয়ে ফিশান পারমানবিক অস্ত্র দু’প্রকার, গান টাইপ ও ইমপ্লোশন টাইপ। গান টাইপ পারমানবিক অস্ত্রের কার্যপ্রণালী খুবই সহজ-সরল কিন্তু দক্ষতা খুবই কম, মাত্র ১.৪ শতাংশ। অপরদিকে ইমপ্লোশন টাইপের দক্ষতা ২০ শতাংশের কাছাকাছি।
গানটাইপ পারমানবিক অস্ত্রের নির্মানশৈলী অনেকটা বন্দুকের মতন, তাই এর নাম গান টাইপ। একটি লম্বা টিউব, যার গায়ে বেরিলিয়াম মৌলের প্রলেপ লাগানো থাকে, তার দু’প্রান্তে সংকট ভরের চেয়ে কম অর্থাৎ সাব ক্রিটিক্যাল ম্যাসের ফিসাইল পদার্থ ইউরেনিয়াম-২৩৫ রাখা হয়। এক প্রান্তে ইউরেনিয়ামের তৈরি বুলেট ও অপর প্রান্তে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ইউরেনিয়াম-২৩৫ জমা থাকে, যাকে বলে টার্গেট। এরপর টিউবের ভেতর সাধারণ বারূদ (কনভেনশনাল এক্সপ্লোসিভ) দিয়ে ইউরেনিয়াম বুলেটকে গতিশীল করা হয় এবং তা অপরপার্শ্বে রক্ষিত টার্গেট ইউরেনিয়ামের সাথে প্রবল বেগে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের পর এরা পরস্পর মিলিত হয়ে সুপার ক্রিটিক্যাল ম্যাস বা অতিসংকট ভর তৈরি করে এবং ফিসাইল পদার্থ হতে নিঃসৃত নিউট্রন কণিকা টেম্পার রিফ্লেক্টরে প্রতিফলিত হয়ে উক্ত ইউরেনিয়াম জ্বালানীকেই আঘাত করে এবং এভাবেই শুরু হয় শৃংখল বিক্রিয়া যার ফলশ্রুতিতে ঘটে পারমানবিক বিস্ফোরণ। ব্যাস তৈরী হয়ে গেল গান-টাইপ পারমানবিক অস্ত্র। জাপানের হিরোসিমায় নিক্ষেপিত ‘লিটল বয়’ ছিলো এই ধরনের অস্ত্র যার শক্তিমাত্রা ছিলো ১৫ কিলোটন টি.এন.টি এবং তাতে ৬৪.১ কিলোগ্রাম বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যাবহৃত হয়। এ পদ্ধতি সহজ হলেও এর জ্বালানি তথা ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়াম খুব বিশুদ্ধ হওয়া প্রয়োজন যা কিনা বহুল ব্যায়সাধ্য, এছাড়া পূর্বেই বলা হয়েছে গান-টাইপের দক্ষতা খুবই কম ও নির্ভর যোগ্য নয়। তাই গান টাইপের চেয়ে ‘ইমপ্লোসন’ টাইপ আরও অনেক বেশি কার্যকর, কিন্তু এর গঠন প্রণালী বেশ জটিল।
ইমপ্লোসন টাইপে জ্বালানী হিসেবে ‘পিট’ ব্যাবহৃত হয় যা কিনা লঘু ঘনত্বের ফিসাইল পদার্থ ছাড়া আর কিছুই নয়। এই পিট বিষাক্ত ও ক্ষয়িষ্ণু (করোসিভ ও হ্যাজার্ডাস) বিধায় পিটের চারিপার্শ্বে নিষ্ক্রিয় ধাতু (যেমন স্বর্ণের) পাতলা আবরণ দেয়া হয়, যা গোলাকার আকৃতির। স্বর্ণের পাতলা আবরণ যুক্ত পিট-কে বেরিলিয়াম-অ্যালুমিনিয়াম এর সংকর ধাতু দ্বারা মুড়িয়ে রাখা হয় যা কিনা ফিসাইল পদার্থ হতে নিঃসৃত নিউট্রন কণিকার প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে, আগেই বলা হয়েছে-এর নাম টেম্পার রিফ্লেক্টর। এবার সম্পুর্ণ ডিভাইসটিকে কারডাইট বিস্ফোরক বা বারূদের মাঝে রাখা হয়। বহিস্তরের কার্ডাইট বিস্ফোরিত হয়ে শক ওয়েভ বা নিনাদের সৃষ্টি করে যা ভেতরে রাখা অল্প ঘনত্বের পিটকে সংকুচিত করে ফেলে ও এর ঘনত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে জ্বালানী অতিসংকট ভর বা সুপার ক্রিটিক্যাল মাসে উপনিত হয় এবং জ্বালানী থেকে নিঃসৃত ও টেম্পার রিফ্লেক্টরে প্রতিফলিত হওয়া নিউট্রন কণিকার আঘাতে নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া শুরু হয়। যদি পিটের ভেতর অল্প পরিমানে হাইড্রোজেনের আইসোটোপ (ডিউটেরিয়াম বা ট্রিটিয়াম) ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তবে নিউট্রন কণিকা নিঃসরনের মাত্রা বহুলাংশে বেড়ে যায় এবং অধিক ধংশযজ্ঞ সম্পন্ন হয়, একে ‘বুস্টিং’ বলে। ইমপ্লোসন টাইপ পারমানবিক অস্ত্র ‘হাই এনরিচড ইউরেনিয়াম’ জ্বালানী হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। ফলে স্বল্প পরিশোধিত ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়াম দ্বারা এ ধরনের পারমানবিক অস্ত্র প্রস্তুত সম্ভব, আর এ কারনেই ইমপ্লোসন টাইপ পারমানবিক অস্ত্র বেশি জনপ্রিয়! জাপানের নাগাসাকিতে নিক্ষেপিত “ফ্যাট ম্যান’ এ ধরনের পারমানবিক অস্ত্র ছিলো।
স্নায়ু যুদ্ধের সময় থেকেই মূলত পারমানবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছিল বৃহৎ শক্তিবর্গের মধ্যে, কিন্তু স্নায়ু যুদ্ধের পরবর্তিতেও কিছু যুদ্ধোন্মাদ নেতারা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার খোঁড়া অজুহাত তুলে শত কোটি টাকা অপচয় করে একের পর এক পারমানবিক যুদ্ধাস্ত্র তৈরী করে বিশ্বশান্তিকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। যারা ইস্রায়েলের আগ্রাসী পারমানবিক প্রকল্পের কথা জেনেও চোখ বন্ধ করে রাখে কিন্তু ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমানবিক প্রকল্পে বাধা দেয় ও মিথ্যা অজুহাত তুলে বিভিন্ন দেশ আক্রমন করে, তারাই এখন বিশ্বে এককভাবে পারমানবিক যুদ্ধাস্ত্রের মালিক এবং গোটা বিশ্বের নিয়তী এসব অর্ধোন্মাদ নেতাদের হাতের মুঠোয়। তাই এখন থেকেই আমরা সচেতন না হলে অদুর ভবিষ্যতে আমাদের এই প্রিয় সবুজ পৃথিবী একদিন ঊষর, বন্ধ্যা ও তেজষ্কৃয়তায় পরিপূর্ণ এক নির্জীব গ্রহে পরিনত হবে, যাতে থাকবেনা কোন প্রাণের স্পন্দন।।
তথ্যসুত্রঃ www.fas.org/nuke/intro/nuke/design.htm
Labels: Bangla Articles 0 comments
Subscribe to:
Posts (Atom)